বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
তালেবান হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

তালেবান হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

বিদেশ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো জোট আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নিলে পুরো দেশজুড়ে তালেবানরা দ্রুত সামরিক শক্তি লাভ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তালেবান ও পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানে যেসব মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে, তাদের আগামী মাসের শেষের দিকে দেশটি ত্যাগ করার কথা। তবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির কাছে লেখা একটি চিঠিতে মি. ব্লিংকেন সতর্ক করে বলেছেন যে, এই তালেবান হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন সেনারা ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আক্রমণ করে তালেবানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল। জানুয়ারিতে, বাইডেন প্রশাসন জানায় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তালেবানের সাথে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল, তারা সেটা পর্যালোচনা করবে। মে মাসের মধ্যে তাদের সরিয়ে নেয়ার কথা। এই চুক্তির আওতায়, তালেবানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নেতৃত্বাধীন নেটোর বাকি ১০ হাজার সেনাকে পহেলা মে’র মধ্যেই সরিয়ে নেয়ার কথা। হোয়াইট হাউস এখন বলছে যে, এই সৈন্যদের সরিয়ে নেয়ার আগে তারা নিশ্চিত হতে চান যে আফগান জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের “প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করছে” বিশেষ করে সহিংসতা হ্রাস এবং সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করছে। দেশটিতে সহিংসতার মাত্রা এখন অনেক বেশি – সাংবাদিক, অ্যাকটিভিস্ট, রাজনীতিবিদ এবং নারী বিচারকদের লক্ষ্য করে হত্যা করা হচ্ছে। মিস্টার ব্লিংকেনের চিঠিটি রবিবার বিবিসি হাতে পেয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আফগানিস্তানে ৯০ দিনের মধ্যে সহিংসতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নতুন আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যেন স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেন আরও অবনতি না হয়, সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে সতর্ক করেছেন তিনি। জাতিসংঘকে বলা হবে, সংস্থাটি যেন এই অঞ্চলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বৈঠকে বসে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে তুরস্ক সম্ভাব্য স্থান হতে পারে। বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লিস ডুসেট বলেছেন, ওই চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাকে কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা আরও জানান, সৈন্য সরিয়ে নেয়ার ফলে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা এবং আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন এড়িয়ে যেতে প্রেসিডেন্ট ঘানি এবং তালেবানদের উপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন মি. ব্লিংকেন। আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা স্থগিত থাকায় প্রেসিডেন্ট ঘানি শনিবার জঙ্গি সংগঠনটিকে সহিংসতা ত্যাগ করে নতুন করে আলোচনা বসার আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছে যে, যদি তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নেটোর মিত্ররা ১৪ মাসে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। ওই প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে যে, তালেবান তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোয় আল-কায়েদা বা অন্যান্য জঙ্গিদের ভিড়তে দেবে না। এবং তারা জাতীয় শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে। যদিও কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠী তালেবান, ঐতিহাসিক চুক্তির পর আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তবে আফগানদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত আছে। আফগান সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করার শর্ত হিসাবে, তালেবানরা দাবি করেছিল যে তাদের কয়েক হাজার বন্দীদের যেন বন্দি বিনিময়ের আওতায় মুক্তি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দোহায় সরাসরি আলোচনা শুরু হয়, তবে এখনও ওই আলোচনায় বড় ধরণের কোন অগ্রগতি হয়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com